University Grants Commission: কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে নেট (National Eligibility Test) উত্তীর্ণ হওয়া আর বাধ্যতামূলক থাকবে না। সম্প্রতি UGC (University Grants Commission) নয়া নিয়মের খসড়ায় এমনটাই জানিয়েছে। সোমবার দিন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক এবং উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে নয়া নিয়মের একটি খসড়া প্রকাশ করেন। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, বেশ কিছু ক্ষেত্রে নিয়মের আমূল বদল করা হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম নিয়ম হল, এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অ্যাকাডেমিক ঘরানার ব্যক্তি না-ও হতে পারেন। এছাড়াও নতুন নিয়মের খসড়ায় চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক এবং অধ্যাপক নেওয়ার বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও জানানো হয়েছে যে, অধ্যাপক নিয়োগের ক্ষেত্রে এখন থেকে নেট (UGC NET) উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক নয়। আসুন আজকের এই প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কী কী বদল আসছে?
নতুন নিয়মের খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো প্রার্থী যদি গণিতে স্নাতক উত্তীর্ণ হয়ে থাকেন এবং পদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে সেই প্রার্থী চাইলে রসায়ন বিষয়ে পিএইচডি করতে পারবেন। এছাড়াও তিনি পিএইচডি-এর বিষয় হিসেবে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন বিষয় পড়ানোর জন্য যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।
একইভাবে, যে সমস্ত প্রার্থীরা স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরে পড়ার বিষয়ের বাইরে অন্য যে বিষয়ে নেট উত্তীর্ণ হয়েছেন, সেই বিষয় প্রার্থীরা পড়াতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ২১টি ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করল UGC; রয়েছে কলকাতার প্রতিষ্ঠানও, দেখে নিন তালিকা
উপাচার্য নিয়োগের নিয়মের ক্ষেত্রেও বদল ঘটানো হয়েছে। পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইন্ডাস্ট্রি, পলিসি মেকিং ইত্যাদি ক্ষেত্রের সংশ্লিষ্ট পেশাদার ব্যক্তিরাও এবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হতে পারবেন। কিন্তু এক্ষেত্রে তাঁর অ্যাকাডেমিক্সে প্রচুর অবদান থাকতে হবে।
নতুন নিয়মের খসড়ায় বলা হয়েছে, যে সমস্ত প্রার্থীরা ৫৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে এম.ই বা এম.টেক ডিগ্রি পাস করেছেন, সেই সমস্ত প্রার্থীরা নেট উত্তীর্ণ না হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগের জন্য যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। তবে, এই নিয়মটি অন্য কোনো বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে টেক্কা দিয়ে মাসে ৭০০০ টাকা ভাতা প্রত্যেক মহিলাকে দেবে মোদী সরকার, শুরু হলো আবেদন
অন্য বিষয়ের ক্ষেত্রে সরকারী অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগের জন্য প্রার্থীকে ৭৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে স্নাতক উত্তীর্ণ হতে হবে এবং ৫৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হতে হবে। এর পাশাপাশি পিএইচডি ডিগ্রি থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: Samsung Galaxy S25 Series ফোনের দাম ফাঁস হয়ে গেলো লঞ্চের আগেই, দাম কত হবে? কী কী ফিচার থাকবে?
এই নতুন নিয়ম আনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানিয়েছেন, এই বদলগুলির ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে নমনীয়তা, গতিশীলতা, উদ্ভাবন, অন্তর্ভুক্তি আরও উদ্বুদ্ধ হবে। এছাড়াও শিক্ষাগত উৎকর্ষতা অর্জনের পথ আরও বেশি প্রশস্ত হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে মানোন্নয়ন ঘটবে। পাশাপাশি শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের ক্ষমতায়ন হবে। মূলত এই বদল আনা হচ্ছে ২০২০ সালের নয়া শিক্ষানীতির অধীনে।