Rail Ticket Booking: প্রায়শই যারা ট্রেনের টিকিট বুকিং করে থাকেন তারা জানেন নিশ্চিত ট্রেনের টিকিট পেতে কতটা কাঠখড় পোড়াতে হয়। অনেক সময়তেই দেখা যায় দীর্ঘ ওয়েটিং লিস্ট রয়েছে। অথচ টিকিট বুকিংয়ের সাথে জড়িত এক শ্রেণির দালালরা যাত্রীকে কনফার্মড টিকিট যেকোনো সময়ে জোগাড় করে দেয় পরিবর্তে তারা যাত্রীর থেকে টিকিট প্রতি দ্বিগুণ, তিনগুণ ক্ষেত্রবিশেষে চারগুণ টাকা রোজগার করে। কিন্তু এই দালালরা কীভাবে সহজেই পেয়ে যায় ট্রেনের নিশ্চিত টিকিট যা পেতে একজন যাত্রীকে হিমশিম খেতে হয়। আসুন আজকের প্রতিবেদনে সেই সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
বাল্ক বুকিং করার মাধ্যমে
অনেক সময় দালালরা জনপ্রিয় রুট কিংবা বিভিন্ন ভ্রমণের মরশুমে একাধিক ট্রেনের প্রচুর সংখ্যক টিকিট বুক করে থাকে। এই প্রচুর সংখ্যক টিকিটের মধ্যে স্বাভাবিক ভাবেই ভালো সংখ্যক নিশ্চিত টিকিট থাকে। কারণ ভারতীয় রেল বিশেষ বিশেষ রুটে মরশুম অনুযায়ী টিকিটের একটি বিশেষ কোটা বরাদ্দ রাখে।
তৎকাল বুকিং কীভাবে নিশ্চিত করা হয়
টিকিট বুকিং দালালরা তৎকাল কোটায় যে টিকিট ছাড়া হয় সেগুলি পাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ। এই তৎকাল টিকিট ট্রেন ভ্রমণের তারিখের এক দিন আগে বুক করা যায়। এই তৎকাল টিকিট কিছু শ্রেণীর রেল যাত্রীদের শেষ ভরসা থাকে। এরই সুযোগ নিয়ে থাকে দালালরা। তারা এই ধরনের টিকিট বুকিংয়ের জন্য একাধিক লোককে ব্যবহার করে। তৎকাল টিকিট উপলব্ধ হওয়ার সাথে সাথে দালালরা সেটি বুক করে এবং চড়া দামে বিক্রি করে।
আরও পড়ুন: ২০২৩ সালের TET-এর রেজাল্ট নিয়ে বিরাট ঘোষণা করলেন পর্ষদ সভাপতি
সফটওয়্যার এবং স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি করে বুক করা হয়
দ্রুত গতিতে টিকিট বুকিংয়ের জন্য দালালরা বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকে। এই সফটওয়্যার স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে অতি দ্রুত টিকিট বুক করে থাকে। কিন্তু স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ট্রেন টিকিট বুকিং প্ল্যাটফর্মের পরিষেবার শর্তাবলীর বিরুদ্ধে এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অভ্যন্তরীণ সংযোগ থাকার সম্ভবনা
অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় টিকিট বুকিং দালালদের সাথে একশ্রেণীর রেলের টিকিট বুকিং কর্মচারীর যোগসাজশ আছে। ফলে এই মাধ্যমেও দালালরা আগে থেকে নিশ্চিত টিকিট পেয়ে যায়।
আরও পড়ুন: RBI-এর নির্দেশে বন্ধ যে ৩ ধরনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, আপনারটাও কী আছে?
ওয়েটিং লিস্টের টিকিট নিশ্চিত করার কৌশল
ওয়েটিং লিস্ট ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে দালালরা। এরপর কিছু টিকিট বাতিল কিংবা পুনরায় বুকিং সিস্টেমের মাধ্যমে কনফার্ম টিকিটের সম্ভাবনা বাড়ানো হয়।
একাধিক অ্যাকাউন্টকে এই কাজে ব্যবহার করা হয়
টিকিট বুকিং দালালরা টিকিট বুকিংয়ের জন্য প্রায়ই একাধিক ব্যক্তিগত বিবরণ ও একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে থাকে। এর ফলে তারা একদিকে যেমন প্রচুর টিকিট বুক করতে পারে তেমনই নিশ্চিত টিকিটও পেয়ে যায়।
আরও পড়ুন: UPI থেকে LPG-র দাম, এই বড় বদল হচ্ছে ১ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে
এই কাজে ঝুঁকিও অনেক থাকে
টিকিট বিক্রি করে দালালরা যেমন প্রচুর লাভ করে তেমনই এই কাজের ঝুঁকিগুলি তারা খুব ভালোভাবেই বোঝে। যেমন টিকিট কাউন্টার থেকে দালালরা বিভিন্ন নামে টিকিট বুক করে থাকে। এবার কোনো যাত্রীর যখন কোনো টিকিট একান্ত প্রয়োজনীয়, সেই টিকিট দালালরা দ্বিগুণ বা তিনগুণ দামে বিক্রি করে থাকে। রেলে অনেক সময় TTE যাত্রীর কাছে টিকিট দেখতে চায় কিন্তু পরিচয়পত্র যাচাই করে না। সেক্ষেত্রে দালালদের দেওয়া এই টিকিট কাজে লেগে যাবে। কিন্তু TTE যদি পরিচয়পত্র চায় টিকিটের সাথে নাম মেলানোর জন্য তখন যাত্রী বড়ো সমস্যায় পড়তে পারেন। সেক্ষেত্রে তাকে জরিমানা ও নতুন টিকিট ক্রয় করতে হতেও পারে। তাই দালালের কাছ থেকে টিকিট কেনার আগে সব দিক ভেবে দেখা ভালো।
আরও পড়ুন: School Teachers Rule 2025 : ২০২৫ থেকে কড়া নিয়ম শিক্ষকদের জন্য, কী নিয়ম? জেনে নিন