কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister of West Bengal)। পূর্ব ঘোষণা মতোই এরাজ্যের প্রায় ৯ লক্ষ কৃষককে ‘বাংলার শস্য বিমা’ (Bangla Shasya Bima) যোজনার আওতায় প্রায় সাড়ে ৩০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বলে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন।
এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) লিখেছেন, তিনি অত্যন্ত আনন্দিত যে চলতি খরিফ মরসুমে প্রতিকূল আবহাওয়াজনিত কারণে কৃষকদের যে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছিল, সেই ক্ষতিপূরণে এই আর্থিক সাহায্য করা হল। প্রসঙ্গত এরাজ্যের প্রায় ৯ লক্ষ কৃষক এই যোজনায় উপকৃত হলেন।
প্রকল্পের টাকা ইতিমধ্যেই সংশ্লিষ্ট কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে প্রদান করা হয়েছে। এজন্য সরকারের প্রায় ৩৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। ২০১৯ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে এর আগেও প্রায় ৩ হাজার ৫৬২ কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য খরচ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: WBSEDCL Recruitment 2024: সরাসরি চাকরির সুযোগ বিদ্যুৎ দপ্তরে! মাসিক বেতন ৫০,০০০ টাকা
এই প্রকল্পে ফসল বিমার প্রিমিয়াম পুরোটাই রাজ্যসরকার বহন করে এবং এরজন্য কৃষকদের কোনো টাকা খরচ করতে হয়না।
আরও পড়ুন: Samsung Galaxy S25 Series ফোনের দাম ফাঁস হয়ে গেলো লঞ্চের আগেই, দাম কত হবে? কী কী ফিচার থাকবে?
গত বছর দানা ঘূর্ণিঝড়, বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে বাংলার কৃষকদের চাষাবাদে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়ার একাধিক এলাকা বন্যার জলে প্লাবিত হয়। চাষের জমি দীর্ঘদিন জলের তলায় থাকায় ব্যাপক লোকসান হয় কৃষকদের।
আরও পড়ুন: UGC: NET বাধ্যতামূলক নয় অধ্যাপক হতে গেলে! কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে কী কী বদল আনছে ইউজিসি
এছাড়াও পুজোর আগে বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বন্যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তখন মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন ‘বাংলা শস্য বীমা’ (Bangla Shasya Bima) যোজনার আওতায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সাহায্য করা হবে। সেই পূর্ব ঘোষনা মতোই এদিন শুরু হল আর্থিক সাহায্য প্রদানের কাজ।
আরও পড়ুন: ২১টি ভুয়ো বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করল UGC; রয়েছে কলকাতার প্রতিষ্ঠানও, দেখে নিন তালিকা